Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
শত বছরের তেতুল,বট ও তেচ্ছল গাছ
বিস্তারিত

“ ঈদগাও বার আওলিয়া” এক অনন্য স্মৃতিতে মুহ্যমান অতি প্রাচিন ১২টি বিশাল বৃক্ষ প্রায় ৪’শ বছরের প্রাচিন ঐতিহ্যকে আজো ধরে রেখেছে বিশাল আকারের সেই বার আওলিয়ার দরগাহর বারটি তেলসুর বৃক্ষ।ঈদগাও বাস ষ্টেশনের সামান্য পূর্বদিকে পুরনো একটি কবরস্থানের মাঝেই বৃক্ষরাজিপূর্ণ সমতল জায়গায় এ দরগাহটি  অবস্থিত।কথিত আছে ১২ আওলিয়া প্রতি বৃহষপতিবার এখানে একত্রিত হয়ে জিকির করে। অবশ্য এ তথ্যটি মুখ থেকে বের করেছিলেন বোয়ালখালী গ্রামের অধিবাসি  বিশিষ্ট দ্বীনি আলেম হযরত আবদুর রহমান জামি(র:)। তিনি ছিলেন ঈদগাওর সর্বোচ্চ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান আলমাছিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক।যদিওবা তিনি শিক্ষক তবুও তার চালচলন, ব্যবহার, খাওয়া দাওয়া সহ সমস্ত কাজকর্ম অন্য ষ্টাইলের। রাত কিংবা দিন, ঝড় হোক বা রোদ হোক, এমনকি গোসল করার সময়ও তাঁর হাতে থাকতো খোলা ছাতা। প্রাতিষ্টানিক কাজ শেষে তিনি সোজা চলে আসতেন দরগাহ পাড়ার সেই বিশাল কবরস্থানে।ঘন বৃক্ষের জঙ্গলবেষ্টিত কবরস্থানের মাঝামাঝি জায়গায় ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করে একাকী রাত দিন কাটাতে থাকে।জিকির, নামায, ও দরগাহ রক্ষনাবেক্ষনে ব্যস্ত থাকতেন।পরবর্তীতে উক্ত ঘরের সামনে মাটির গুদাম ও ছনের ছানিযুক্ত একটি মসজিদ ছিল। তাঁর জীবনের ৩৩ বছর এখানেই কাটান এবং বিগত ১৯৯৫ সালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।তখন আশেপাশে তেমন ঘরবাড়ি গড়ে উঠেনি। এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ মুরব্বী হাজী নুরুল হক জানান, ষাটের দশকে এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে সবে মাত্র লোক আসতে শুরু করেছে। তিনি আরো জানান তিনি নিজে সহ মীর আহমদ সওদাগর, মো: কালু, এজাহার ড্রাইভার, ফরিদুল আলম প্রকাশ কুরা আলম, মমতাজ আহমদ প্রকাশ পুথি মমতাজ, আমির হামজা, উলা মিয়া ও মীর আহমদ প্রকাশ চেরাগ আহমদ, শহর মুল্লুক, মোখলেছুর রহমান আশে পাশে বসতঘর তৈরি করে বার আওলিয়া দরগাহ নিয়ে কাজ শুরু করেন। মাওলানা আবদুর রহমান জামির খোজ খবর নিতেন। যতটুকু সম্ভব খাবারও যোগান দিতেন। বয়োবৃদ্ধ নুরু জানান, আমার সহযোগি মুরব্বীরা এখন বেচে নেই।একমাত্র আমিই স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছি।দরগাহনুরাগী পাশ্ববর্তী বাড়ির মালিক ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ জানান, তার নিকটাত্মীয় গফুরের মা’র কাছ থেকে যা শুনেছেন তা হচ্ছে, দরগাহ সংলগ্ন বিশাল পুকুরটি একসময় পাড়ার মহিলারা ব্যবহার করতো।একদিন কলসি নিয়ে উক্ত পুকুরে পানি আনতে গিয়ে তিনি আরেক আওলিয়া ওয়াজ করনী (র:) কে দেখেছিলেন। তখন থেকেই ভক্তি শ্রদ্ধা বাড়তেই খাকে। স্থানীয় মুরব্বী ও নিয়মিত মুসল্লী আবদু রমিদ, শাহ আলম, হাফেজ মৌলানা সিরাজুল হক, নুরুল ইসলাম, মো:ইসলাম মিস্ত্রি, মকতুল হোছন ড্রাইভার, আলতাজ আহমদ, জানান, বার জন আওলিয়া এখানে জিকির করার দৃশ্য মাওলানা আবদুর রহমান জামি (র:)র মাধ্যমেই প্রকাশ হয়েছে। ঐতিহ্যের ধারক ১২টি বহু প্রাচিন গাছগুলো নিয়েও রয়েছে নানান আলৌলিক কাহিনী। স্থানীয়রা জানান, ঈদগার তৎকালীন পেশাদার গাজা বিক্রেতা জেবর মুল্লুক উক্ত ১২ টি গাছের একটির ঢাল কেটে গাজা সেবনের কলকি তৈরি কারার জের ধরে ্ওই গাজা বিক্রেতার শরীর ধীরে ধীরে কুজো (বাঁকা) হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সে মারা যায়। অপর একটি গাছ বজ্রপাতে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কেউ এটা ছুঁয়েও দেখেনি।এক পর্যায়ে আপনা আপনিই গাছটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। অপর একটি গাছের নিচে গর্ত হয়ে যায় এবং রক্তের মতো রঙ্গীন পানি বের হয়ে সরাসরি পুকুরে গিয়ে পড়ার কারনে গাছটি কেটে ফেলা হয়। কিন্তু উক্ত গাছের ঢালপালা কেনে পালপাড়ার লেড়া পিয় নামের এক ব্যক্তি। রহস্যজনক ব্যাপার হচ্ছে উক্ত গাছের ঢালপালা কেনে আবার বিক্রির পর হতেই ্ওই ব্যক্তি একেবারে দেওলিয়া হয়ে গেছে। বার আওলিয়া দরগার একটি কমিিিট রয়েছে।উক্ত কমিটি স্থানীয় ও প্রবাসীদের অর্থায়নে মসজিদটিকে পাকা করেছে।এখনো সংস্কার কাজ চলছে। বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবদুর রহমান জামির নামে একটি হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান বৃহত্তর ঈদগাওর বিশিষ্ট দ্বীনি বক্তা এ জি লুৎফুল কবির দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলভী আবদুর রহমান আজাদ লেখাপড়া শিখেছেন বিশিষ্ট দ্বীনে বুর্জগান আবদুর রহমান জামি সাহেবের কাছ হতে।ঈদগাও আলমাছিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফিরোজ আহমদ জানান, আবদুর রহমান জামি কোন সাধারন মানুষ নন।তিনি বড় ধরনের আলেম।একজন আওলিয়া।অনলাইন পত্রিকা ঈদগাও নিউজ ডট কম চেয়ারম্যান মো; রেজাউল করিমের দৃষ্টিতে  আবদুর রহমান জামি হুজুর একজন অসাধারন ব্যক্তি ছিলেন।আধ্যাত্মিক আল্লাওয়ালা এ ব্যক্তি কোরাানের বিভিন্ন ফরায়েজ সম্পর্কে খুবই অভীজ্ঞ ছিলেন। সাংবাদিক মিজানুর রহমান আজাদের মতে তিনি  আল্লাহর একজন খাটি বান্দা আবদুর রহমান জামি (র:) সরকারী বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে ঐহিহাসিক দরগাহটির বিরাজিত নানান সমস্যা দূরীকরনে এগিয়ে আসা প্রয়োজন মনে করেন ধর্মপ্রান মুসল্লী, কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী।